অবৈধ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ঠেকাতে বিআরটিএকে পরামর্শ

Passenger Voice    |    ০৫:২৫ পিএম, ২০২৪-০২-২৮


অবৈধ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ঠেকাতে বিআরটিএকে পরামর্শ

দেশের সকল জায়গায় ছড়িয়ে পড়া অবৈধ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলারকে সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে বিআরটিএকে গাইড লাইন তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আজ (মঙ্গলবার) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এমন পরামর্শ দেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে থ্রি হুইলার ও টু হুইলারের অনেক মার্কেট তৈরি হয়ে আছে। অবৈধ থ্রি হুইলারে ভরে গেছে। বিআরটিএকে একটি গাইড লাইন তৈরির জন্য বলা যেতে পারে। তারা যন্ত্রাংশসহ একটি গাইড লাইন দেবে, যার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন হবে। বাকিগুলো অবৈধ। গাইড লাইন অনুসরণ করেই থ্রি-হুইলার তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, থ্রি হুইলার গ্রামে-গঞ্জে যেভাবে ছড়িয়েছে, যেভাবে অবৈধভাবে মার্কেটে ঢুকেছে... আর এই অবৈধ হওয়ার সুবাদে যেভাবে একটি শ্রেণি সুবিধা নিচ্ছে, তা আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। এটাকে একটা সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে বিআরটিএ’কে দেখতে হবে।

আলোচনায় বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্প উন্নয়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির ওপর বিশেষ শুল্ক সুবিধা দেওয়ার দাবি করে বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসেম্বেলার্স অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশন (বামা)।

বামা তাদের প্রস্তাবনায় জানায়, বর্তমানে ইলেকট্রিক প্রোপালশন মোটরসাইকেলের ওপর আমাদানি শুল্ক ৩৭ শতাংশ, যা কমিয়ে ৩১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক মোটরকারের শুল্ক ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ শতাংশ, ইলেকট্রিক বাস ও ট্রাক আমদানিতে শুল্ক ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া সিকেডিতে (কম্পিট নকড ডাউড) আমদানির ক্ষেত্রে কোনো এইচএস কোড নেই। সিকেডির জন্য আলাদা কোড নির্ধারণ ও শুল্কহার ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বামা।

সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রচলিত ইঞ্জিনচালিত গাড়ির চেয়ে বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ির মূল্য বেশি। এ ছাড়া মানুষ এখনও ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাজারজাত করা সম্ভব হলে ভোক্তারা ইলেকট্রিক ভেহিকেল ব্যবহারে উৎসাহিত হবে।

এদিকে এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তাদের প্রস্তাবে হেলিকপ্টারসহ উড়োজাহাজ, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ, উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত আমদানি কর, মূসক, আগাম কর এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

আর বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবে এসি বাসের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ বিদ্যমান ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল সংস্থা তাদের প্রস্তাবে এসি কেবিনের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। 

কোম্পানি করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, উৎসে করহার কমানো, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস এসোসিয়েশন।